DISPLAY প্রযুক্তির ক্রমবিকাশ ও তার প্রভাব

 

 

ডিসপ্লে প্রযুক্তি আজ আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, টেলিভিশন থেকে শুরু করে স্মার্ট ঘড়ি পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসে কোনো না কোনো ধরনের ডিসপ্লে রয়েছে। এই প্রযুক্তি আমাদের সামনে তথ্য, ছবি, এবং ভিডিও তুলে ধরে আমাদের জীবনকে আরও সহজ এবং আকর্ষণীয় করে তুলেছে। বিভিন্ন ধরনের ডিসপ্লে প্রযুক্তি রয়েছে, যেমন LCD, LED, OLED, এবং IPS

LCD ডিসপ্লে সাধারণত কম শক্তি ব্যবহার করে, LED ডিসপ্লে উজ্জ্বল দীর্ঘস্থায়ী, OLED উন্নত কালার কন্ট্রাস্ট প্রদান করে এবং IPS ডিসপ্লে চওড়া অ্যাঙ্গেল থেকে স্পষ্ট ছবি প্রদর্শনে সক্ষম। এই প্রযুক্তিগুলি উন্নত রেজোলিউশন, ব্রাইটনেস, এবং কালার গভীরতার মাধ্যমে আমাদের দেখার অভিজ্ঞতায় বিশাল পরিবর্তন এনেছে।

ডিসপ্লে প্রযুক্তি কেবল বিনোদন নয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং ব্যবসায়ও প্রভাব ফেলেছে। ভার্চুয়াল ক্লাসরুম, টেলিমেডিসিন এবং অন্যান্য ইন্টারেক্টিভ সেবা এখন আরও সহজ হয়েছে, যা আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করছে। আধুনিক ডিসপ্লেগুলোতে উচ্চতর রেজোলিউশন বাস্তবিক অভিজ্ঞতা আমাদের দেখার পদ্ধতিকে বদলে দিয়েছে।

 

বিস্তারিতভাবে আলোচনা

 

1.      সিআরটি (CRT) ডিসপ্লে

          ·  উদ্ভাবক: সিআরটি ডিসপ্লে প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেন কার্ল ব্রাউন (Karl Ferdinand Braun)

                              ১৮৯৭ সালে।

     ·     উদ্ভাবনের ইতিহাস: ১৮৯৭ সালে, কার্ল ব্রাউন একটি ক্যাথোড রে টিউব তৈরি করেন, যা একটি        বিশেষ ধরনের টিউব যেখানে ইলেকট্রন রশ্মি স্ক্রিনের ফসফর কোটিংয়ের উপর আঘাত করে এবং আলো নির্গত করে ছবি তৈরি করে। প্রথমদিকে এটি ইলেকট্রনিক ইমেজ প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার হত না বরং এটি একটি পরীক্ষামূলক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হত। পরবর্তীতে ১৯২০ সালে টিভি মনিটরের জন্য ক্যাথোড রে টিউব প্রযুক্তি উন্নত করা হয়।     

  • ক্যাথোড রে টিউব (Cathode Ray Tube) হল সিআরটি ডিসপ্লের মূল উপাদান। এটি একটি বড় টিউবের মতো দেখতে হয়, যার মধ্যে ক্যাথোড রশ্মি নির্গত করে ছবি তৈরি করা হয়।
  • কাজের পদ্ধতি: একটি ইলেকট্রন গান ক্যাথোড থেকে ইলেকট্রন নির্গত করে যা ফসফর স্ক্রিনে আঘাত করে। স্ক্রিনে এই আঘাতের ফলে আলোর সৃষ্টি হয় এবং পিক্সেলের মাধ্যমে ছবি গঠন হয়।
  • গুণাবলী: সিআরটি ডিসপ্লেগুলো খুব ভারী এবং অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে। এর উজ্জ্বলতা এবং রঙ খুব ভালো হলেও বড় আকারের কারণে এটি এখন খুব কমই ব্যবহৃত হয়।
  • অ্যাপ্লিকেশন: সিআরটি প্রযুক্তি পুরোনো টিভি, মনিটর এবং কিছু অ্যানালগ যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়েছিল।
  • ভালো দিক: রঙ এবং কনট্রাস্ট ভালো।
  • অসুবিধা: ভারী, বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে, এবং মোটা আকারের হওয়ায় সহজে বহনযোগ্য নয়।
  •   বেশি ব্যবহৃত স্থান: পুরনো টিভি, কম্পিউটার মনিটর, এবং কিছু পুরনো মেডিকেল যন্ত্রে।
  • ব্যবহারের কারণ: সিআরটি ডিসপ্লে গুলোর রঙ উজ্জ্বলতা ভালো হলেও এরা ভারী এবং বিদ্যুৎ খরচ বেশি। তাই বর্তমানে খুব কমই ব্যবহৃত হয় এবং সাধারণত আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। কিছু প্রযুক্তিগত এবং গবেষণামূলক কাজে CRT ডিসপ্লে এখনও ব্যবহৃত হয়।

 

2.      এলসিডি (LCD) ডিসপ্লে

·  উদ্ভাবক: এলসিডি প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেন জর্জ হেইলমেয়ার (George H. Heilmeier) ১৯৬০ এর দশকে।

             ·  উদ্ভাবনের ইতিহাস: এলসিডি ডিসপ্লের মূল ধারণাটি আসে লিকুইড ক্রিস্টাল নামক একটি উপাদান থেকে, যা বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ প্রয়োগ করলে আলোকে বিভিন্ন কোণে প্রবাহিত করতে সক্ষম। ১৯৬৮ সালে জর্জ হেইলমেয়ার লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন এবং তারপরে এটিকে পরিশীলিত করে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ডিসপ্লে হিসাবে ব্যবহার করা শুরু হয়। এলসিডি ডিসপ্লে প্রযুক্তি টিভি, মনিটর, ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোনে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

  • লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে (Liquid Crystal Display) একটি প্ল্যানার ডিসপ্লে যা লিকুইড ক্রিস্টাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
  • কাজের পদ্ধতি: লিকুইড ক্রিস্টালের উপর ব্যাকলাইট পড়ে এবং একটি নির্দিষ্ট বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ প্রয়োগ করলে লিকুইড ক্রিস্টালগুলি আলোকে বিভিন্ন কোণে প্রবাহিত করতে পারে, যা পিক্সেলে রঙ এবং উজ্জ্বলতা তৈরি করে।
  • গুণাবলী: এলসিডি ডিসপ্লেগুলো অনেক হালকা পাতলা, তাই ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, এবং টিভির জন্য আদর্শ। এটি সিআরটির তুলনায় কম বিদ্যুৎ খরচ করে এবং ডিসপ্লে কোয়ালিটি তুলনামূলক ভালো।
  • অ্যাপ্লিকেশন: এই প্রযুক্তি সাধারণত ল্যাপটপ, টিভি, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ছোট ইলেকট্রনিক যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়।
  •    ভালো দিক: পাতলা, হালকা, এবং কম বিদ্যুৎ খরচ করে।
  •    অসুবিধা: কালো রঙ খুব গাঢ় হয় না, কনট্রাস্ট একটু কম।
  •    বেশি ব্যবহৃত স্থান: ল্যাপটপ, ডেস্কটপ মনিটর, টিভি, ক্যালকুলেটর, এবং মোবাইল ফোনে।
  •     ব্যবহারের কারণ: LCD ডিসপ্লে পাতলা এবং হালকা, তাই এটি বহনযোগ্য ডিভাইসের জন্য আদর্শ। এটি ব্যাটারি খরচ কম করে এবং বড় স্ক্রিনে ভালো রেজোলিউশন প্রদান করে। বর্তমানে টিভি ল্যাপটপের ডিসপ্লে হিসেবে এটি সবচেয়ে জনপ্রিয়।

 

3.      এলইডি (LED) ডিসপ্লে

·  উদ্ভাবক: LED এর আবিষ্কারক হিসেবে পরিচিত নিক হোলোনিয়াক (Nick Holonyak Jr.), যিনি ১৯৬২ সালে প্রথম LED তৈরি করেন।

 

 

 

·  উদ্ভাবনের ইতিহাস: ১৯৬০ এর দশকে লাইট এমিটিং ডায়োড (LED) তৈরি হয়েছিল একটি নতুন আলোক প্রযুক্তি হিসেবে। প্রথমদিকে এটি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রে আলো নির্দেশক হিসাবে ব্যবহার করা হত। এরপর LED আলোক ব্যবস্থাটি ডিসপ্লে প্রযুক্তির সঙ্গে মিশ্রিত করা হয় এবং ব্যাকলাইট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পরবর্তীতে এলইডি ডিসপ্লে প্রযুক্তি আরও উন্নত হয় এবং আজ এটি টিভি, কম্পিউটার মনিটর, এবং বড় ডিসপ্লেতে ব্যবহার করা হয়।

  • লাইট এমিটিং ডায়োড (Light Emitting Diode) প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে এলইডি ডিসপ্লে তৈরি করা হয়। এটি মূলত এলসিডি ডিসপ্লের মতই, তবে ব্যাকলাইট হিসেবে লাইট এমিটিং ডায়োড ব্যবহার করা হয়।
  • কাজের পদ্ধতি: প্রতিটি পিক্সেল একাধিক LED লাইট দ্বারা আলোকিত হয়, যার ফলে আরো উজ্জ্বল এবং স্পষ্ট ছবি তৈরি হয়। এলইডি ডিসপ্লেগুলি সাধারণত ব্যাকলিট বা এজ-লিট হয়, যেখানে LED লাইটগুলি ডিসপ্লের চারপাশে স্থাপন করা থাকে।
  • গুণাবলী: এলইডি ডিসপ্লেগুলি এলসিডির চেয়ে উন্নত এবং কম বিদ্যুৎ খরচ করে। এটি অধিক উজ্জ্বল এবং দীর্ঘস্থায়ী। এলইডি প্রযুক্তি স্ক্রীনের কনট্রাস্ট বৃদ্ধি করে এবং গাঢ় কালো রঙ প্রদান করতে সক্ষম।
  • অ্যাপ্লিকেশন: টিভি, কম্পিউটার মনিটর এবং বড় স্ক্রিন ডিজিটাল সাইনেজে ব্যবহৃত হয়।
  •   ভালো দিক: LCD এর চেয়ে বেশি উজ্জ্বল, কম বিদ্যুৎ খরচ করে, এবং ভালো কালার কনট্রাস্ট দেয়।
  •   অসুবিধা: ব্যাকলাইটের কারণে গাঢ় কালো রঙ ঠিকঠাক আসে না, যদিও LCD এর তুলনায় ভালো।
  •    বেশি ব্যবহৃত স্থান: আধুনিক টিভি, কম্পিউটার মনিটর, বড় ডিজিটাল সাইনেজ (billboard) এবং ঘড়ি।
  •   ব্যবহারের কারণ: LED ডিসপ্লে উজ্জ্বল, দীর্ঘস্থায়ী, এবং কম বিদ্যুৎ খরচ করে। এটি বিশেষ করে টিভি এবং বড় ডিসপ্লেতে ব্যবহৃত হয় কারণ এতে ভালো কালার কনট্রাস্ট এবং উজ্জ্বলতা পাওয়া যায়। LED ডিসপ্লে বর্তমানে সাধারণ এলসিডি ডিসপ্লের তুলনায় বেশি ব্যবহৃত হয়।

 

4.      ওএলইডি (OLED) ডিসপ্লে

·  উদ্ভাবক: OLED প্রযুক্তির আবিষ্কার করেন চিং ট্যাং (Ching W. Tang) এবং স্টিভেন ভ্যান স্লাইক (Steven Van Slyke) ১৯৮৭ সালে।

 

·  উদ্ভাবনের ইতিহাস: ১৯৮৭ সালে, চিং ট্যাং এবং স্টিভেন ভ্যান স্লাইক OLED প্রযুক্তির মূল পদ্ধতি আবিষ্কার করেন, যেখানে জৈবিক উপাদান ব্যবহৃত হয় এবং এটি ইলেকট্রিক চার্জ পেলে নিজেই আলো নির্গত করে। এই প্রযুক্তি পরবর্তীতে মোবাইল, টিভি এবং প্রিমিয়াম ডিভাইসগুলির ডিসপ্লে হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। OLED ডিসপ্লে পাতলা, নমনীয় এবং এলইডি এলসিডি ডিসপ্লের তুলনায় উন্নত রঙ এবং কনট্রাস্ট প্রদান করতে সক্ষম।

  • অর্গানিক লাইট এমিটিং ডায়োড (Organic Light Emitting Diode) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যেখানে প্রত্যেকটি পিক্সেল নিজেই আলোকিত হয় এবং ব্যাকলাইট প্রয়োজন হয় না।
  • কাজের পদ্ধতি: প্রতিটি পিক্সেল একটি জৈব যৌগের মাধ্যমে আলো নির্গত করে। এই পদ্ধতিতে পিক্সেলগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, যার ফলে গাঢ় কালো রঙ এবং উচ্চ কনট্রাস্ট অর্জন সম্ভব।
  • গুণাবলী: OLED ডিসপ্লে খুব পাতলা এবং নমনীয় হওয়ায় মোবাইল ফোন এবং প্রিমিয়াম টিভিগুলিতে জনপ্রিয়। এটি এলইডি বা এলসিডি ডিসপ্লের তুলনায় অনেক বেশি কনট্রাস্ট এবং ভালো কালো রঙ প্রদান করে। তবে, এটি তুলনামূলক ব্যয়বহুল এবং দীর্ঘমেয়াদে "বার্ন-ইন" সমস্যা হতে পারে।
  • অ্যাপ্লিকেশন: মোবাইল ফোন, প্রিমিয়াম টিভি এবং কিছু ভিআর হেডসেটে OLED ডিসপ্লে ব্যবহৃত হয়।
  •   ভালো দিক: প্রতিটি পিক্সেল নিজেরাই আলো তৈরি করতে পারে, তাই গাঢ় কালো এবং উচ্চ কনট্রাস্ট দেয়। রঙ অনেক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়। অত্যন্ত পাতলা এবং নমনীয়।
  •   অসুবিধা: ব্যয়বহুল এবং বার্ন-ইন সমস্যা দেখা দিতে পারে, অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদে কিছু ইমেজ স্থায়ীভাবে স্ক্রিনে থেকে যেতে পারে।
  •    বেশি ব্যবহৃত স্থান: প্রিমিয়াম মোবাইল ফোন, স্মার্টওয়াচ, উচ্চমানের টিভি, এবং কিছু ল্যাপটপ।
  •   ব্যবহারের কারণ: OLED ডিসপ্লেগুলো পাতলা, নমনীয়, এবং নিজেরাই আলো নির্গত করতে সক্ষম হওয়ায় এটি ব্যাকলাইট ছাড়াই চলতে পারে। এটি উজ্জ্বল রঙ এবং প্রকৃত কালো রঙ প্রদান করতে সক্ষম, যা গেমিং, ভিডিও, এবং মিডিয়া দেখার জন্য আদর্শ। OLED ডিসপ্লেগুলি সাধারণত ব্যয়বহুল, তাই এটি প্রিমিয়াম ডিভাইসে বেশি ব্যবহৃত হয়।

5.      এমোলেড (AMOLED) ডিসপ্লে

·  উদ্ভাবক: AMOLED প্রযুক্তি স্যামসাং এবং বিভিন্ন গবেষণাগার দ্বারা উন্নত করা হয়।

·  উদ্ভাবনের ইতিহাস: OLED প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে অ্যাক্টিভ ম্যাট্রিক্স ওএলইডি (AMOLED) প্রযুক্তি তৈরি করা হয়। এই প্রযুক্তি প্রতিটি পিক্সেলের জন্য একটি ট্রানজিস্টর এবং ক্যাপাসিটর ব্যবহার করে, যা পিক্সেলগুলোকে স্বাধীনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম করে। এটি দ্রুত প্রতিক্রিয়া সময় প্রদান করে, যা ভিডিও এবং গেমিংয়ের জন্য আদর্শ। স্যামসাং এবং অন্যান্য কোম্পানি এই প্রযুক্তির উন্নয়ন করে মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য প্রিমিয়াম ডিভাইসে অ্যামোলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করতে শুরু করে।

  • অ্যাক্টিভ ম্যাট্রিক্স ওএলইডি (Active Matrix OLED) প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এটি OLED এর একটি উন্নত সংস্করণ, যেখানে প্রতিটি পিক্সেলের জন্য একটি ট্রানজিস্টর থাকে যা দ্রুত এবং সঠিকভাবে উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
  • কাজের পদ্ধতি: AMOLED ডিসপ্লেতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া সময় থাকে, যা ভিডিও এবং গেমিংয়ের জন্য আদর্শ। এটি আরো উন্নত রঙ এবং সঠিক কালার প্রোডাকশন প্রদান করে।
  • গুণাবলী: AMOLED ডিসপ্লেগুলি অনেক পাতলা, নমনীয় এবং উচ্চ রেজোলিউশনে গাঢ় কালো রঙ এবং উজ্জ্বল রঙ প্রদান করে। তবে, এটি সাধারণত ব্যয়বহুল এবং বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে।
  • অ্যাপ্লিকেশন: উচ্চমানের মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট এবং স্মার্টওয়াচে AMOLED ডিসপ্লে ব্যবহৃত হয়।
  •   ভালো দিক: OLED এর চেয়েও উন্নত, দ্রুত প্রতিক্রিয়া সময় এবং আরও প্রাণবন্ত রঙ প্রদান করে। উচ্চ রেজোলিউশন এবং গাঢ় কালো পাওয়া যায়, যা গেমিং এবং ভিডিওর জন্য ভালো।
  •   অসুবিধা: OLED এর মতোই ব্যয়বহুল এবং বার্ন-ইনের ঝুঁকি থাকে।
  •   বেশি ব্যবহৃত স্থান: স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, স্মার্টওয়াচ এবং কিছু প্রিমিয়াম ল্যাপটপ।
  •   ব্যবহারের কারণ: AMOLED ডিসপ্লেগুলো আরও উন্নতমানের রঙ এবং গাঢ় কালো রঙ প্রদান করতে পারে। এটি গেমিং এবং ভিডিওর জন্য দ্রুত প্রতিক্রিয়া সময় প্রদান করে। স্যামসাং এবং অন্যান্য প্রিমিয়াম মোবাইল ব্র্যান্ডের জন্য এটি প্রধান ডিসপ্লে প্রযুক্তি। এছাড়াও, স্মার্টওয়াচ এবং অন্যান্য ছোট ডিভাইসেও এটি ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি কম ব্যাটারি খরচ করে এবং উচ্চমানের রেজোলিউশন প্রদান করতে পারে।

 বার্ন-ইন হল একটি সমস্যাজনক ঘটনা যেখানে একটি ডিসপ্লের কিছু নির্দিষ্ট অংশে স্থায়ীভাবে ছবি বা আকার "জমে" বা আটকে যায়। মূলত, ডিসপ্লেতে একটি স্থির ছবি দীর্ঘ সময় ধরে দেখানো হলে, সেই ছবির চিহ্ন বা আউটলাইন ডিসপ্লেতে থেকে যেতে পারে। বিশেষ করে OLED এবং AMOLED ডিসপ্লেতে বার্ন-ইন-এর ঝুঁকি বেশি থাকে।

6.      বার্ন-ইন কীভাবে ঘটে?

বার্ন-ইন ঘটে যখন ডিসপ্লের প্রতিটি পিক্সেল সমানভাবে ব্যবহৃত হয় না। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো স্থির লোগো বা ইমেজ ডিসপ্লেতে অনেকক্ষণ ধরে থাকে, সেই অংশের পিক্সেলগুলো অন্য অংশের তুলনায় বেশি আলোকিত হয়, ফলে সেই অংশ দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এতে স্থির ইমেজের চিহ্ন বা ছাপ ডিসপ্লেতে থেকে যায়, যাকে বার্ন-ইন বলা হয়।

7.      বার্ন-ইন-এর কারণ

  1. একই পিক্সেলের উপর দীর্ঘক্ষণ স্থির ছবি বা লোগো: টিভি চ্যানেলের লোগো বা মোবাইল ফোনের স্থির অ্যাপ আইকন অনেকক্ষণ ধরে স্ক্রিনে থেকে গেলে পিক্সেলগুলো দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
  2. OLED এবং AMOLED ডিসপ্লের গঠন: এই ডিসপ্লেগুলোতে প্রতিটি পিক্সেল নিজস্ব আলো তৈরি করে, ফলে বেশি ব্যবহৃত পিক্সেলগুলো দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

8.      বার্ন-ইন সমস্যা প্রতিরোধে কিছু পরামর্শ

  1. স্ক্রিন টাইম আউট বা অটো-লক ব্যবহার করুন: ডিসপ্লে দীর্ঘ সময় ধরে চালু রাখার পরিবর্তে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য স্ক্রিন টাইম আউট ব্যবহার করা উচিত।
  2. স্ট্যাটিক ইমেজ কম ব্যবহার করুন: দীর্ঘ সময় ধরে কোনো স্থির ছবি বা লোগো দেখানো এড়ানো উচিত।
  3. ডার্ক মোড ব্যবহার করুন: AMOLED বা OLED ডিসপ্লেতে ডার্ক মোড ব্যবহারে কালো পিক্সেলগুলো কম আলো নির্গত করে, ফলে বার্ন-ইনের ঝুঁকি কম থাকে।
  4. উজ্জ্বলতা কমিয়ে ব্যবহার করুন: বেশি উজ্জ্বলতায় ডিসপ্লে ব্যবহারে পিক্সেলের ওপর চাপ বেশি পড়ে, তাই উজ্জ্বলতা কম রাখা উত্তম।

বার্ন-ইন সমস্যার কারণে OLED এবং AMOLED ডিসপ্লেগুলি কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও, সঠিক ব্যবহার কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এটি অনেকাংশে এড়ানো যায়।

 

কম্পিউটারের ডিসপ্লে হিসেবে কোনটি বেশি ভালো হবে তা নির্ভর করে আপনি কিসের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করছেন এবং আপনার বাজেট কতটুকু। বিভিন্ন ডিসপ্লে প্রযুক্তির সুবিধা-অসুবিধা অনুসারে আপনার জন্য সঠিক পছন্দটি নির্বাচন করা যেতে পারে। নিচে বিভিন্ন ডিসপ্লে প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য এবং কোনটি কোন কাজে ভালো তা আলোচনা করা হলো।

1. এলসিডি (LCD) ডিসপ্লে

  • উপযোগী: সাধারণ কাজ যেমন ব্রাউজিং, অফিস কাজ, এবং স্টাডির জন্য।
  • বৈশিষ্ট্য: LCD ডিসপ্লে সাশ্রয়ী, বেশিরভাগ সাধারণ কাজের জন্য পর্যাপ্ত রেজোলিউশন প্রদান করতে সক্ষম। এটি হালকা এবং বহনযোগ্য।
  • অসুবিধা: কালার কনট্রাস্ট এবং রঙের গভীরতা OLED বা AMOLED ডিসপ্লের তুলনায় কিছুটা কম।
  • কারণ: সাধারণ কাজ এবং বাজেটবান্ধব অপশন হিসেবে LCD ডিসপ্লে ভালো।

2. এলইডি (LED) ডিসপ্লে

  • উপযোগী: দীর্ঘ সময় ধরে কাজের জন্য যেমন অফিস ওয়র্ক বা সাধারণ মাল্টিমিডিয়া।
  • বৈশিষ্ট্য: LED ডিসপ্লে LCD-এর তুলনায় বেশি উজ্জ্বল এবং ভালো কালার কনট্রাস্ট দেয়। এটি অপেক্ষাকৃত কম বিদ্যুৎ খরচ করে।
  • অসুবিধা: OLED বা AMOLED-এর মতো কালার গভীরতা এবং গাঢ় কালো রঙ দিতে পারে না।
  • কারণ: অফিসের জন্য মিডিয়া কনটেন্ট দেখার জন্য LED ডিসপ্লে বেশ ভালো অপশন।

 

3. ওএলইডি (OLED) ডিসপ্লে

  • উপযোগী: গ্রাফিক্স, ফটোগ্রাফি, ভিডিও এডিটিং, এবং গেমিং।
  • বৈশিষ্ট্য: OLED ডিসপ্লে গাঢ় কালো এবং উজ্জ্বল রঙ প্রদান করতে সক্ষম। এটি ছবির মান এবং কালার কনট্রাস্টে সেরা।
  • অসুবিধা: ব্যয়বহুল এবং দীর্ঘমেয়াদে বার্ন-ইন সমস্যা হতে পারে।
  • কারণ: যদি আপনি ছবি বা ভিডিও সম্পাদনা, ডিজাইন, এবং প্রফেশনাল কাজ করেন, তাহলে OLED ডিসপ্লে চমৎকার ছবি গুণমান কালার প্রদান করবে।

4. এমোলেড (AMOLED) ডিসপ্লে

  • উপযোগী: গেমিং, উচ্চ মানের মিডিয়া ভিজ্যুয়াল, এবং প্রফেশনাল কাজের জন্য।
  • বৈশিষ্ট্য: AMOLED ডিসপ্লে দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং উচ্চ রেজোলিউশন প্রদানে সক্ষম। এটি গাঢ় কালো রঙ আরও উজ্জ্বল রঙের গভীরতা দেয়।
  • অসুবিধা: ব্যয়বহুল এবং বার্ন-ইনের ঝুঁকি রয়েছে।
  • কারণ: প্রফেশনাল কাজ, যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, গেমিং, এবং ভিডিও এডিটিং-এর জন্য এটি উপযুক্ত।

 

5. আইপিএস (IPS) এলসিডি ডিসপ্লে

  • উপযোগী: অফিসের কাজ, মিডিয়া দেখা এবং রং নির্ভুলতা প্রয়োজন এমন কাজ।
  • বৈশিষ্ট্য: IPS প্যানেল ভালো ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল এবং রঙের নির্ভুলতা প্রদান করে। এটি দীর্ঘ সময় ব্যবহারে চোখের জন্য আরামদায়ক।
  • অসুবিধা: OLED বা AMOLED-এর মতো কালার গভীরতা এবং গাঢ় কালো রঙ দিতে পারে না।
  • কারণ: প্রফেশনাল এবং সাধারণ কাজের জন্য ভালো রঙ এবং ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল সহকারে একটি নির্ভরযোগ্য অপশন।

সারসংক্ষেপ

  • সাধারণ অফিস কাজ মিডিয়া দেখার জন্য: LED বা IPS LCD ডিসপ্লে ভালো হবে।
  • গেমিং এবং মাল্টিমিডিয়া: OLED বা AMOLED ডিসপ্লে ভালো, তবে বাজেট বেশি রাখতে হবে।
  • গ্রাফিক্স এবং ডিজাইনিং কাজে: OLED বা IPS ডিসপ্লে, কারণ রঙের নির্ভুলতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বাজেট প্রয়োজন অনুযায়ী OLED বা AMOLED ডিসপ্লে সেরা, কিন্তু যদি একটু সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য অপশন চান, তবে IPS ডিসপ্লে একটি ভালো পছন্দ হতে পারে।

 

IPS (In-Plane Switching) ডিসপ্লে কী?

IPS, বা ইন-প্লেন সুইচিং, হল LCD (Liquid Crystal Display) ডিসপ্লের একটি উন্নত সংস্করণ। সাধারণ LCD ডিসপ্লেতে কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল, বিশেষ করে রঙের মান এবং ভিউয়িং অ্যাঙ্গেলে (যে কোণ থেকে স্ক্রিন দেখা যায়) এসব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার জন্য IPS প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে।

IPS ডিসপ্লের বৈশিষ্ট্যসমূহ

IPS ডিসপ্লে-এর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা একে অন্যান্য LCD প্যানেলের তুলনায় আলাদা করে:

  1. ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল ভালো হওয়া:
    • IPS ডিসপ্লেতে প্রায় ১৭৮ ডিগ্রি পর্যন্ত ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল পাওয়া যায়, যা অত্যন্ত প্রশস্ত। অর্থাৎ, ডিসপ্লেটিকে যেকোনো পাশ থেকে দেখলেও রঙের পরিবর্তন বা উজ্জ্বলতার কমতি হয় না।
    • সাধারণ LCD বা TN (Twisted Nematic) ডিসপ্লেতে সরাসরি সামনে থেকে না দেখলে রঙ উজ্জ্বলতা অনেক সময় পরিবর্তিত হয়ে যায়। কিন্তু IPS প্যানেলে আপনি যেকোনো দিক থেকে একদম স্পষ্ট ছবি এবং রঙ দেখতে পারবেন।
  2. রঙের মান নির্ভুলতা:
    • IPS ডিসপ্লে অত্যন্ত নির্ভুল রঙ প্রদর্শন করতে সক্ষম। তাই এটি গ্রাফিক ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি কাজের জন্য আদর্শ।
    • IPS ডিসপ্লে অধিক কালার গ্যামুট (রঙের ব্যাপ্তি) এবং বেশি প্রাণবন্ত রঙ প্রদান করতে পারে। এই বৈশিষ্ট্যটি ছবির মান উন্নত করে এবং রঙকে বাস্তবসম্মতভাবে প্রদর্শন করে।
  3. ব্ল্যাক লেভেল কনট্রাস্ট:
    • IPS ডিসপ্লে গাঢ় কালো (ডীপ ব্ল্যাক) প্রদর্শনে কিছুটা দুর্বল হতে পারে, তবে উন্নত IPS প্যানেলগুলোতে এই সমস্যা অনেকাংশে কাটিয়ে ওঠা হয়েছে।
    • VA (Vertical Alignment) প্যানেল যেমন কালো কনট্রাস্টে ভালো, কিন্তু ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল IPS-এর মতো উন্নত নয়।
  4. রেসপন্স টাইম রিফ্রেশ রেট:
    • IPS ডিসপ্লের পিক্সেলের রেসপন্স টাইম সাধারণ LCD বা TN প্যানেলের তুলনায় কিছুটা ধীর হতে পারে, যা গেমিং-এর সময় কিছুটা সমস্যা করতে পারে।
    • তবে, বর্তমানের উন্নত IPS প্যানেলগুলোতে রেসপন্স টাইম এবং রিফ্রেশ রেট বেশ ভালো হওয়ায় গেমিং এবং মাল্টিমিডিয়া কাজেও IPS এখন অনেক জনপ্রিয়। গেমারদের জন্য কিছু IPS ডিসপ্লেতে উচ্চ রিফ্রেশ রেট এবং কম রেসপন্স টাইম আছে, যা তাদের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম।
  5. লং-লাস্টিং এবং বার্ন-ইনের ঝুঁকি কম:
    • OLED এবং AMOLED ডিসপ্লেগুলোর মতো বার্ন-ইন (পিক্সেলের ক্ষয়) সমস্যা সাধারণত IPS ডিসপ্লেতে হয় না। এটি দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য নিরাপদ।
    • এছাড়া IPS ডিসপ্লেগুলো সাধারণত বেশি টেকসই এবং দীর্ঘদিন ধরে ভালো ছবি মান প্রদান করে।

 IPS ডিসপ্লের সুবিধা ও অসুবিধা

সুবিধা:

  • ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল: যেকোনো দিক থেকে দেখার সময় রঙ এবং উজ্জ্বলতা পরিবর্তন হয় না।
  • রঙের নির্ভুলতা: অত্যন্ত সঠিক এবং প্রাণবন্ত রঙ প্রদান করে, যা প্রফেশনাল কাজের জন্য উপযুক্ত।
  • দীর্ঘস্থায়ী: বার্ন-ইনের ঝুঁকি কম থাকে এবং দীর্ঘদিন ভালো পারফরম্যান্স প্রদান করে।

অসুবিধা:

  • গাঢ় কালো রঙ: OLED বা VA প্যানেলের মতো IPS ডিসপ্লে গাঢ় কালো রঙ দিতে সক্ষম নয়।
  • রেসপন্স টাইম: IPS ডিসপ্লের রেসপন্স টাইম সাধারণত TN প্যানেলের তুলনায় ধীর, তবে উন্নত মডেলে এটি অনেক উন্নত হয়েছে।
  • দাম: সাধারণ LCD ডিসপ্লের তুলনায় IPS ডিসপ্লে একটু বেশি ব্যয়বহুল হতে পারে, তবে সুবিধার তুলনায় এটি সাশ্রয়ী।

IPS ডিসপ্লে কোন কাজে বেশি ভালো?

  1. গ্রাফিক ডিজাইন এবং ফটোগ্রাফি: IPS ডিসপ্লে রঙের নির্ভুলতা এবং সঠিক মান প্রদান করে, যা ফটোগ্রাফি এবং গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  2. ভিডিও এডিটিং কন্টেন্ট ক্রিয়েশন: প্রাণবন্ত রঙ এবং স্পষ্ট ছবির মান ভিডিও এডিটিং এবং মিডিয়া ক্রিয়েশন কাজের জন্য এটি উপযুক্ত করে তোলে।
  3. গেমিং: যদিও রেসপন্স টাইম কিছুটা ধীর হতে পারে, তবে অনেক গেমার এখন উচ্চ রিফ্রেশ রেটযুক্ত IPS ডিসপ্লে ব্যবহার করেন, কারণ এটি ভালো ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল এবং রঙের মান প্রদান করে।
  4. দীর্ঘ সময় কাজের জন্য: IPS ডিসপ্লে চোখের জন্য আরামদায়ক, তাই দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটারে কাজ করলে IPS ডিসপ্লে ব্যবহার করা নিরাপদ।

সারসংক্ষেপ

IPS ডিসপ্লে এমন একটি প্রযুক্তি যা ভালো ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল, রঙের নির্ভুলতা, এবং দীর্ঘস্থায়ীত্ব প্রদান করে। এটি প্রফেশনাল কাজ এবং সাধারণ ব্যবহারের জন্য আদর্শ। যদি আপনার কাজের জন্য রঙের সঠিকতা এবং ভালো ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল দরকার হয়, তবে IPS ডিসপ্লে সেরা বিকল্প।

 

 

 

Download Now

REPLY NOW

Leave A Reply

Partners Image
Partners Image
Partners Image
Partners Image
Partners Image
Partners Image
Partners Image
Partners Image
Partners Image
Partners Image
Partners Image
Partners Image